অবাক করা উপহার!
লিখেছেন লিখেছেন আওণ রাহ'বার ১৭ নভেম্বর, ২০১৩, ০৬:৩৭:৪৮ সন্ধ্যা
অবাক করা নামঃ
হঠাৎ একদিন চমকে গেলাম মরন শুনে! স্টুডেন্ট এর মা দুইবার এর মত বললেন মরন মরন। মনে মনে ভাবলাম মরন কেনো বললো ? তো পরে দেখলাম একজন মানুষের নাম হলো মরন তো খুবই অবাক হলাম। মরন এর রহস্য উন্মোচন করে।
সকল অভিবাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিৎ যে তার সন্তানের জন্য অন্তত একটা সুন্দর এবং অর্থবহ নাম রাখা। কেননা নামের দ্বারা মুসলমান পরিচয় পাওয়া যায়। নাম শুনেই ধারনা করে নেওয়া যায় এ ব্যাক্তি মুসলমান। তাই আমরা সবাই নিয়্যাত করি আমাদের ছোট বাবুদের জন্য সুন্দর এবং অর্থবহ ইসলামিক নাম রাখবো। মরন, বুলেট, কাল্লু,লাল্লু,অদিত এরকম নাম বাদ দিয়ে সুন্দর এবং অর্থবহ ইসলামিক নাম রাখব ইনশাআল্লাহ।
অবাক করা উপহারঃ
আমার এক ছোট মা আছে। সে আমার বন্ধুর ভাতিজি। আমার ছোট মায়ের কথা মনে পড়লেই আমি তাকে দেখে আসি। তো তার চাচা তার জন্য একটা উপহার ঠিক করেছেন যখন তার বয়স ১২ হবে তখন উপহারটি ভাতিজি কে বুঝিয়ে দিবে। উপহারটির বিবরণঃ তার ভাতিজি যখন দুনিয়াতে আসে তখন ভাতিজির ছবি নিয়ে একটি ফেসবুক একাউন্ট ওপেন করে। এখন ভাতিজির বয়স ১ বছর ৩ মাস । ভাতিজির নামে করা একাউন্ট টা নিজেই চালায়। ভাতিজির বিভিন্ন স্ট্যাটাস ফেসবুক এ নিজেই আপলোড করে যেমন: আমি এখন চাচ্চুর সাথে গ্রামে যাচ্ছি, বয়স বাড়ার সাথে সাথে ছবির পরিবর্তন, এটা খাচ্ছি ওটা করছি ইত্যাদি। বন্ধুটি আমাকে বললো যে তার ভাতিজির বয়স যখন ১২ হবে তখন ভাতিজিকে একাউন্ট পাসওয়ার্ড সহ বুঝিয়ে দিবে। এটাই ভাতিজির জন্য তার বিশেষ উপহার। উপহার শুনে আমিতো পুরাই "থ" হয়ে গেলাম। পরে ভাবলাম ইনশাআল্লাহ ১২ বছর বয়সে সে প্রিয় মামা নুহেরির মত হবে, যদি সে নুহেরির মত লিখতে পারে তবেতো আলহামদুলিল্লাহ। আমি তাকে ব্লগার বানিয়ে দেবো। যাও ফেসবুক ছেড়ে ব্লগিং করো আর শ্রদ্ধেয়া আপুদের মত ভালো এবং গঠনমুলক লিখা লিখো এবং সত্যের ঝান্ডা হাতে নিয়ে বাতিলের মোকাবেলায় এগিয়ে চলো।
অবাক করা বিচারঃ
আমার এক বন্ধু ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক, যিনি মহান রব্বুল আলামিন এর ডাকে কবরে শায়িত আছেন।
একদিন তার সাথে সাক্ষাতে মাদ্রাসায় যাই। হঠাৎ এক ছোট ছাত্র [মনির]এসে বিচার দিল উস্তাদজী ওই ছেলে বলে ওর নাম "মনির" [আরেকজন নিজের নাম দাবি করেছে মনির] বিচার দেখে তো আমি হতবাক!!!! তখন তিনি ধমকের স্বরে [একা একা বললেন] বললেন কার এতো বড় সাহস নিজেকে মনির দাবী করে। বাস বিচার শেষ। আমি শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলাম আপনি এমনটি কেন করলেন? তিনি উত্তরে বললেন সে অনেক আশা করে বিচার নিয়ে এসেছে যদি তার বিচার না শুনি তো কচি মনে মানষিক আঘাত পাবে।
পাঠক ভাবতে পারেন এটাতো সাধারন বিষয়। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থায় এই রকম বিচার শুনে বিচার করাতো দুরে থাক এরকম বিচার নিয়ে আসলে ছাত্রকে এক ধমক দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরিবার, শিক্ষক সবারই প্রয়োজন শিশুদের সমস্ত কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা। তার যথাযথ উত্তর প্রদান করা। এতে তাদের মানুষিকতার উত্তম বিকাশ ঘটে, অভিবাবকদের উপর আস্থাবান থাকে।
অবাক করা উপলব্ধিঃ
এ বিষয়টা হয়তো অনেকেই দেখেছেনঃ যখন কবর খুঁড়া হয় কিছু মানুষ লুঙ্গী পড়ে কবর খুঁড়ে। কবর খুঁড়তে খুঁড়তে ফরজ তরক করে লুঙ্গী কাঁচা দেয়। কবর খোঁড়ার মাঝে মাঝে কবরস্থানে বসেই সিগেরেট খায়। আসলে সে যে কি কাজ করছে এটার অনুভূতিই তার মাঝে নাই। কিন্তু যদি একটু গভীর দৃস্টিতে চিন্তা করি যে তার বাবা মা অথবা অন্য প্রিয় কেউ যদি মারা যায় তবে কি উপলব্ধি একই হবে? কখনও নয়। এই দুই উপলব্ধি এক হতেই পারেনা। এই দুইটি উপলব্ধি অবশ্যই অনেক ভিন্ন। আমাদের সকলের উচিৎ মৃত্যুকে বেশি বেশি এবং উত্তমরূপে স্মরন করা। মৃত্যুকে উত্তমরূপে স্মরণ করার দ্বারা গুণাহ থেকে বেচে থাকা সহজ হয়। হৃদয় নেক আমলের প্রতি আকৃষ্ট হয়। দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা হৃদয় থেকে কমতে থাকে।
আল্লাহর কাছে আমরা সবাই দোয়া করি ইয়া আল্লাহ আপনি আমাদেরকে মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর প্রস্তুতি নেওয়ার তৌফিক দান করুন। এবং ঈমানের সাথে মৃত্যু দান করুন। আমীন
বিষয়: বিবিধ
৩৮০৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
But all the comments get deleted and not come yet...
Thanks your inspiering comments..
I will try for writing Thanku khammuni...
মন্তব্য করতে লগইন করুন